- কয়েকদিন থেকে একটি সংবাদ দেখে খুব অস্থির অস্থির লাগছে, নিজেকে খুব পীড়িত মনে হচ্ছে, খুব অসহায় বোধ করছি। খবরটি হল খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিলেতে বিএনপিরন্থীরা হাইকমিশনে হামলার সময় ভাঙচুর করেছে মুজিবের প্রতিকৃতি এবং ছবি। বিএনপি তার নেত্রীর সাজা উপলক্ষে প্রতিবাদ করতেই পারে, তাই বলে কী একজন বঙ্গবন্ধুও তাদের টার্গেট?
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়ে গেছে প্রতিহিংসাপরায়ণ। সেক্ষেত্রে আওয়ামিলিগ মনে করে বঙ্গবন্ধু তাদের একক সম্পত্তি আর বিএনপিভাবে তিনি নিছকই একজন আওয়ামিলীগার। কিন্তু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্লেষণ করলে আমরা কী পাই? তিনি তার পুরোটা জীবন দিয়ে দিয়েছিলেন এদেশের মানুষের জন্যে, ন্যায্য অধিকার আদায়ে, সর্বোপরি স্বাধীনতার সংগ্রামে। বিএনপিলবির অধিকাংশই বঙ্গবন্ধুকে স্বীকৃতি দিতে কোনও মুহূর্তেই প্রস্তুত নয়, জামাতের কথা তো বাদই দিলাম!
আমরা জাতি হিসেবে বড্ডবেশি অকৃতজ্ঞ আর চোগলখোর। তারজন্যেই এক মীরজাফরের চক্রান্তে পরাধীন থাকতে হয় দুশ বছর। সেই মীরজাফরের উত্তরসূরীরা এখনও সুযোগ পেলে হামলে পড়ে, তাদের সব রাগ ঐ মুজিবের ওপর, তারজন্যেই যে এসেছে স্বাধীনতা। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে, ঐ মুজিবের কারণেই তারা বাঙালি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে। আর নব্য আওয়ামিলিগাররা জানেই না মুজিব কে? কীভাবে এনেছিল স্বাধীনতা! সবাই ব্যস্থ নিজের আখের গুছাতে।
জাতি হিসেবে আমরা কী পারি না বঙ্গবন্ধুকে সবকিছুর উর্ধ্বে রাখতে? অনেকটা ওয়াশিংটন,লিংকন,গান্ধী কিংবা ম্যান্ডেলার মত! ব্যক্তি মুজিবের সমালোচনা করা যায়, কিন্তু মুজিব নামক যে চেতনা তা সবকিছুর উর্ধ্বে! প্রবাসে যদি কখনো দেখি বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করছে কেউ খুব পীড়া দেয়, নিজের অক্ষমতা তিলে তিলে নি:শেষ করে দেয় সবকিছু। মুজিব না হলে যে এই সবুজ পাসপোর্টটা হত না!
হয়তোবা মুজিবের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল এই জাতিকে স্বাধীন করা, যার প্রায়শ্চিত্ত সে করেছিল সপরিবারে নিজের জীবন দিয়ে, নিজের হত্যার বিচারের জন্যে তিরিশ বছর অপেক্ষা করে! এখনো করে যাচ্ছে প্রায়শ্চিত্ত পদপিষ্ট হয়ে!
##Copied from Facebook .
No comments:
Post a Comment